সোহেল রানা বাবুঃ বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধিঃবাগেরহাটের চিতলমারীতে আকষ্মিক ঝড় ও অতিরিক্ত তাপমাত্রায় উঠতি বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দূর থেকে ধান গাছগুলোকে স্বাভাবিক মনে হলেও ছড়ায় থাকা ধানগুলো চিটে হয়ে গেছে।
বাতাসের তোড়ে অধিকাংশ ক্ষেতের ধান মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।
গত রোববার (৪ এপ্রিল) রাতে হঠাৎ ঝড়ো বাতাসে কৃষকদের ক্ষেতের ধানের এই ক্ষতি হয়।
ফলন্ত ধানের এমন ক্ষতিতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষীরা। করোনা পরিস্থিতিতে ধার দেনা করা টাকায় উৎপাদিত ফসলের এমন ক্ষতিতে নিঃস্ব হয়ে পড়বেন অনেক কৃষকেরা।এর ফলে অনেক কৃষক আর্থিকভাবে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে যাচ্ছেন।
সরেজমিনে চিতলমারী উপজেলার দলুয়াগুনি বিলে গিয়ে কয়েকজন চাষীর সঙ্গে কথা হয়, ধান লাগানো কৃষক শাহারুল শেখ বলেন, আমরা খুব আশা করে ধান রোপণ করেছিলাম। এক মাসের মধ্যেই ধান কেটে ঘরে তুলতে পারতাম, কিন্তু এখন ধানের যে ক্ষতি হয়ে গেল, তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। ঝড়ের পরে ধানের কাছে এসে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি চলে যাই।
অপর চাষী মোঃ ইব্রাহিম শেখ বলেন, অনেক আশা করে ধান লাগিয়ে ছিলাম, ধান কাটবো, বাড়িতে নিবো। পরিবার-পরিজনকে নিয়ে বছর ভরে খাবো ও বিক্রি করে পরিবারের ভরণ পোষণ হবে। কিন্তু ঝড়ে আমাদের শেষ করে দিয়ে গেল। ধানের কাছে এসে দেখি সব চিটা !!!এখন কিভাবে ছেলে-মেয়ে নিয়ে বাঁচবো, কিভাবে চলবো এই বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেন তিনি।হাসিব শেখ বলেন, হঠাৎ ঝড়ে আমাদের শেষ করে দিয়ে গেছে। করোনায় সব কাজ বন্ধ, আয়ও বন্ধ একেবারে। ভরসা ছিল ধানের ওপর, তাও শেষ হলো আকষ্মিক এই ঝড়ে।
চিতলমারী কৃষি অফিসার ঋতুরাজ সরকার বলেন, এ বছর উপজেলায় মোট ১১,৭০৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। ঝড়ো বাতাস ও অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে কিছুকিছু ধান ক্ষেত হিটস্ট্রেস জনিত কারণে ধানের ফুলস্তরের শীষ সাদা হয়ে গেছে। ২০০ হেক্টর জমির ধান আক্রান্ত হয়েছে। মূলত নামি ও নিঁচু জমির ধান বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।