এম এ আশরাফ উদ্দীনঃচট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী থানাধীন বারোকোয়াটার এর পশ্চিম ঝর্ণা পাড়া এলাকার ছেলে সন্তান হীন হতদরিদ্র বিধবা রাজিয়া বেগম (৬০) গত ২রা এপ্রিল হালিশহর থানাধীন হালিশহর রোডস্থ এলাকায় দুপুর আনুমানিক ১২টা নাগাদ সড়ক দুর্ঘটনায় বুকের পাঁজর ও পায়ে গুরুতর জখম হয়েছেন।
এ সময় স্থানীয় লোকজন তাড়াতাড়ি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেন। পরবর্তীতে প্রাথমিক চিকিৎসার পর পরিপূর্ণ সুস্থতার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে পঞ্চম তলায় ২৬নং ওয়ার্ডের ০৯নং বেড এ চিকিৎসাধীন রয়েছেন রাজিয়া।
গাড়ির মালিক স্থানীয় লোকদের সুপরিচিত হওয়াতে স্থানীয় লোকজন গাড়ির মালিক কে চিকিৎসা খরচের জন্য চাপ দিলে তিনি তাৎক্ষণিক ০৯ হাজার টাকা দিয়ে চিকিৎসা শুরু করার জন্য বলেন এবং থানায় মামলা অথবা অভিযোগ না দেওয়ার শর্তে সুস্থ হওয়া পর্যন্ত সকল চিকিৎসা খরচ বহন করবেন বলে আশ্বাস দেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, এক্সরে রিপোর্ট দেখে বুঝা যাচ্ছে বুকের পাঁজরের হাড় আলাদা হয়ে গেছে এবং পায়ের আঙ্গুল একেবারেই থেঁতলে গেছে। বুকের পাঁজরের চিকিৎসা কয়েকদিন পরে করলেও পারা যাবে, কিন্তু খুব শীঘ্রই পায়ের আঙ্গুল চারটি অপারেশন করে কেটে ফেলে দিতে হবে। অন্যথায় মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
এদিকে শয্যাশায়ী বিধবা রাজিয়ার অবিবাহিত কন্যা নার্গিস আক্তার (৩৫) একমাত্র অবলম্বন মা কে বাঁচাতে প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করতে গিয়ে ঔষধ ও এক্সরে রিপোর্ট খরচ সহ ধারদেনা করে ইতিমধ্যে প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ করেছেন। বর্তমানে কোন উপায়ন্তর না পেয়ে গাড়ির মালিকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তাঁর গাড়ির সাথে দুর্ঘটনার বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেন। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন যারা দুর্ঘটনা হওয়া কালীন সময় উপস্থিত ছিলেন, এবং বলেছিলেন গাড়ির মালিকের থেকে আমরা সম্পূর্ণ খরচ আদায় করে দিব, তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারাও মালিকপক্ষের সাপোর্ট করে এবং স্থানীয় ক্ষমতা প্রয়োগ করে বলেন, ০৯ হাজার টাকা নিয়ে দিয়েছি আর কিসের টাকা? তোমরা পারলে মামলা হামলা যা পারো তাই করো, আমরা গাড়ির নাম্বারও দিব না মামলা করার জন্য।
নার্গিস উপায়ন্তর না পেয়ে স্থানীয় এক লোকের সহযোগিতায় ০৬ এপ্রিল রাত আনুমানিক ০৯ টায় হালিশহর থানায় গিয়ে এই বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু অভিযোগ টির তদন্ত করে সমাধান হতে হতে হতদরিদ্র বিধবা রাজিয়ার হয়ে যেতে পারে বড় ধরণের কোন দুর্ঘটনা।
এমতাবস্থায় কোন মানবিক বিত্তশালী যদি সহযোগিতা করেন তাহলে বেঁচে যেতে পারে অবিবাহিত নার্গিস আক্তার এর বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন মা রাজিয়া। ক্ষুদ্র পরিসরে যে কেউ সহযোগিতা পাঠাতে পারেন, সহযোগিতা পাঠাতে যোগাযোগ করুন- নার্গিস আক্তার (রোগীর মেয়ে) ০১৯১৯-৮৩৬৮৯৭