বিবিসিনিউজ২৪,ডেস্কঃ গাজিপুরের মেয়ে “নাতাশা রাইমান”।যিনি একজন সফল উদ্যোক্তা, সফল ব্যবসায়ী। তিনি ২০১৯ সাল থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি চালিয়ে যান জীবন সংগ্রামের একটি অংশ অনলাইন ব্যবসা।তবে থেমে থাকেননি তিনি। দুর্গম পথ এবং ব্যার্থতার গ্লানি উপেক্ষা করে আজ সাফল্যর দ্বারপ্রান্তে ” নাতাশা রাইমান”।হাটি হাটি পা পা করে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে সাথে নিয়ে তিনি হয়ে উঠেন গাজিপুরের সফল নারী উদ্যোক্তা।
”উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প নিয়ে টেকজুমের এবারের আয়োজন।গাজিপুরের মেয়ে “নাতাশা রাইমান” এর উদ্যোক্তা হয়ে ওঠা নিয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছেন বিবিসিনিউজ২৪ এর স্টাফ রিপোর্টার। পাঠকদের উদ্দেশ্যে সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হলো-
আপনার সম্পর্কে যদি কিছু বলতেন?
আসসালামু আলাইকুম,আমি নাতাশা রাইমান
ডাক নাম রোমানা,আমি গাজীপুরের ছোট্ট একটি গ্রাম-ধীরাশ্রম এ থাকি।
উদ্দ্যোক্তা আগ্রহ কিভাবে তৈরি হল?
আমি পড়াশুনা করেছি ব্যবসায় শাখা থেকে মানে কমারস নিয়ে,একটা সাবজেক্ট ছিল ব্যবসায় উদ্দ্যোগ, সাধারনত সেখান থেকেই উদ্দোক্তা হওয়ার আগ্রহ তৈরি হল।
আপনি অনলাইন বিজনেসে কাকে আইডল হিসেবে দেখছেন?
আমি অনলাইন মানে ফেসবুক এপ টা ২০১৭সাল থেকে ব্যবহার করছি ২০১৯ এ থেকে আমার অনলাইন বিজনেস এর যাত্রা শুরু, আমি অনলাইন বিজনেস এ আইডল অনেক দেখেছি অনেক অনুপ্রেরণা এই করোনায় অনেকে দিয়েছেন,আমার আন্টি, সাথের আপুর রাই আমার আইডল।
কতটুকু সফলতা লাভ করেছেন বলে মনে করেন?
আমি সফলতার সিড়িতে মাত্র পা রেখেছি আলহামদুলিল্লাহ কাস্টমারদের ভাল রেস্পন্স পাচ্ছি তারা তাদের মান সম্মত দাম অনুযায়ী পণ্য টি পাচ্ছে তাদের আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে পেরেছি এটা আমার বড় সফলতা।
আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
পরিকল্পনা আছে ভবিষ্যৎ এ আমার একটি নিজস্ব শোরুম ‘ষড়ভূজা’র জন্য,আল্লাহর রহমত কামনা করছি, এবং কাস্টমার দের সহযোগীতা।আর এর মাধ্যমে আমি কিছু মেয়েদের সাহায্য করার চেষ্টা করব যারা উদ্দ্যোক্তা হতে চান তাদের পাশে দাড়ানোর জন্য।
আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা যদি বলতেন?
আমি পড়াশুনা করছি ম্যানেজমেন্ট নিয়ে অনার্স করছি।
আপনার চ্যালেঞ্জ গুলো কিভাবে মোকাবেলা করেছেন?
আমি মাঝে অনেক সমস্যায় পড়েছি,যেহেতু অনলাইন বিষয়টা পুরোপুরি বিশ্বাস এর উপড়, মাঝে কাস্টমাদের ব্যবহার কিছু ফেইক আইডির ব্যবহার আমাকে কাদতে বাধ্য করেছিল,আমাকে নিয়ে রীতিমত ফেইক বলে পোস্ট করছিল কিন্তু সেটা আমার নামে ফেইক একাউন্ট ছিল এবং কাস্টামারদের জন্য আমার প্রোফাইল কখনো লক করার চিন্তা করিনি, সেটা ছিল আমার সবচেয়ে খারাপ অভিজ্ঞতা,নামী দামী গ্রুপ গুলো থেকে আমাকে রিমুভ দেওয়া হয়েছিল,যেহেতু আমাদের বেশির ভাগ কাস্টামার গ্রুপ থেকে পাওয়া তাই তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ ছিলাম আছি, এরপর আমার বিশ্বস্ত কাস্টমারেরাই আবার আমাকে প্রেরনা দিয়েছেন তাদের প্রতিও আমি কৃতজ্ঞ।
আপনার নতুন প্রোডাক্ট গুলো কি?
আমার শুরু থেকে টাংগাইল এর বিভিন্ন শাড়ি ও দেশীয় কালেকশন ছিল এখন পাকিস্তানি ও ইন্ডিয়ান বুটিক,লেহেংগা ও জুয়েলারি যোগ করেছি আলহামদুলিল্লাহ।
বর্তমানে কোভিড১৯ এ ই-কমার্স?
কোভিড ১৯’ শুনলেই ত শিহরিত লাগে, খুব ভয়ানক ও আতংকে বেচে আছি সবাই, লক ডাউনের সময় আমরা কি করব বাসায় সেল নেই,কুরিয়ার হচ্ছিল না সহজে অনেক খারাপ একটা সময় পার করেছি,যেহেতু কিছুটা স্বাভাবিক সবাই এখন আমারা স্বাস্থ্যবিধী গুলো মেনে চলার চেষ্টা করলে হয়ত আমাদের কাজ গুলো আরো সহজ আগের মত হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। তবে এই কোভিড ১৯ এ ই-কমার্স এর চাহিদা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে,মানুষ তাদের সুপ্ত প্রতিভা দেখানোর সুযোগ এ উদ্দ্যোক্তা হতেও সাহায্য করেছে।
পরিশেষে স্রোতাদের উদ্দ্যেশে কিছু বলুন?
স্রোতাদের উদ্দেশ্যে আমার কথা থাকবে,নিজেদের কখনো ছোট ভাববেন না,আপনি পারেন কথাটি আপনার অন্তরে গেথে নিন,মেয়েরা যারা আছেন সমাজ,পরিবার, আত্মীয়দের ভয়ে ভয়ে নিজের স্বপ্ন গুলোকে মাটিচাপা দিবেন না,মনে রাখবেন মাথা উচু করে দাড়ালে দাঁড়াবে নারী জাতি,আপনারা নতুন উদ্দ্যোক্তা দের সাহায্য করুন এবং আপনাদের সাহায্য সহযোগীতা ছাড়া আমরা কিছুই না, অনলাইনে বিশ্বাস সবাইকে করতে হবে তা নয় আপনি যার থেকে প্রোডাক্ট অরডার করতে চান তার প্রোফাইল রেসপন্স দেখুন,আইডি লক সেলারদের অগ্রাধিকার দিবেন না,সেলারদের পারসোনাল পোস্ট দেখুন তাদের লাইক কমেন্টস এর সংখ্যা দেখুন। রিয়াল সেলার আর আইডি চেনা কোন ব্যাপার না। দাম কমে না ছুটে মান বুঝুন আরো পোস্ট দেখুন সঠিক যে দাম তাও বুঝতে পারবেন,এক দোকানে ঘুরলে ত দাম আর মান কোনটাই বুঝা যাবে না।