কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃকুড়িগ্রামের কাঁঠালবাড়ীতে একের পর এক সহিংস ঘটনা ও হাতকাটা বাহিনীর উত্থানে শান্তিপ্রিয় কুড়িগ্রাম এখন অশান্ত।
মামলা,হামলা,পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন ও বিক্ষোভে অশান্ত হয়ে উঠছে সামাজিক মাধ্যম। কাঁঠালবাড়ীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সংঘর্ষে ঘটিত অমানবিক ঘটনা সামজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে কুড়িগ্রাম বাসী আতংকিত হয়ে পড়ে। পাল্টাপাল্টি অভিযোগে অস্থির হয়ে পড়ে সাধারণ মানুষজন সহ স্থানীয় ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক অঙ্গন। ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলে উক্ত সন্ত্রাসী কর্মকান্ডকে কেন্দ্র করে সরকার দলীয় রাজনীতিতে সমর্থক ও কর্মীদের মধ্যে বিভক্তির দুটি ধারা দৃশ্যমান হয়।
একে অন্যকে ঘায়েল করার লক্ষ্যে নানান পরিকল্পনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জেলার রাজনৈতিক অঙ্গন। সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচীতে অতিষ্ঠ জেলা বাসী এহেন অপতৎপরতা থেকে মুক্তি চায়। অমানবিক সংঘর্ষ ও হাতকাটা বাহিনীর মদদ দাতাদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে জেলা বাসী স্থানীয় রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে সৃষ্ট এই সহিংসতাকে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের লক্ষ্যে জেলা সদরে নানা কর্মসূচীর কারণে বিক্ষুব্ধ শহরবাসী। শান্তিপূর্ণ শহর কুড়িগ্রাম কে অশান্ত করার কারণে জেলা আওয়ামীলীগের সর্বোচ্চ ২ নেতাকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় আওয়ামিলীগ। শীর্ষ দুই নেতাই এখন অবস্থান করছেন ঢাকায়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, চলতি মাসের ১৬ তারিখে জেলা আওয়ামিলীগের সভাপতি, জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি মোঃ জাফর আলীর আপন ভাগিনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আতাউর রহমান মিন্টুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হাতের কবজি কেটে নেয় রাজনৈতিক আশ্রয়ে লালিত সন্ত্রাসী ওই হাতকাটা বাহিনী। হাতকাটা বাহিনীর নেতৃত্বের দ্বন্দে সন্ত্রাসীরা জড়িয়ে পড়ে ক্ষমতা জানান দেয়ার প্রতিযোগিতায়।
উল্লেখ্য, গত ১৬ই মার্চ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি আতাউর রহমান মিনটু কে হামলা চালিয়ে হাতকেটে দেয়ার ঘটনায় কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জননেতা ওবায়দুল কাদের জরুরী তলব করেছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
২০১০ সালের ২৭ মে হাতকাটা বাহিনী যুবলীগ কর্মী উজ্জলের হাতকেটে নিয়ে কাঠালবাড়ীতে মহড়া দিয়ে হাত নিয়ে যায় রেদওয়ানুল হক দুলালের রাইস মিলে, সেই হাতকাটা ঘটনায় বাধন, মিন্টু সহ অনেকের নামে মামলা হলেও এখনো বিচার পায়নি হাত হারানো উজ্জ্বল।। হাতকাটা বাহিনী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে তারা নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে।। ভূমি দখল, চাঁদাবাজি ছিলো তাদের নিত্যকার কাজকর্ম। আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র হাতকাটা বাহিনী নিজেরাই জড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষ।
গত ৩১শে আগষ্ট মিন্টু গ্রুপ কাঠালবাড়ী বাজারে বেদম মারপিট করে মৃতভেবে বাধন কে রাস্তায় ফেলে যায়। এলাকাবাসী বাধন কে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সে সময় মাথা সহ শরীরে ৩৮ টি সেলাই দেয়া হয়। দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ফিরে এসে বাঁধন গত ১৬ মার্চে হাতকেটে নেয় মিন্টুর।। মুমূর্ষু আতাউর রহমান মিন্টু এখন ঢাকার পংগু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।