বিবিসিনিউজ২৪,ডেস্কঃ মুন্সিগঞ্জের মেয়ে “সোনিয়া”।যিনি একজন সফল উদ্যোক্তা, সফল ব্যবসায়ী। তিনি ২০২০ সাল থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি চালিয়ে যান জীবন সংগ্রামের একটি অংশ অনলাইন ব্যবসা।তবে থেমে থাকেননি তিনি। দুর্গম পথ এবং ব্যার্থতার গ্লানি উপেক্ষা করে আজ সাফল্যর দ্বারপ্রান্তে ” সোনিয়া”।হাটি হাটি পা পা করে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে সাথে নিয়ে তিনি হয়ে উঠেন মুন্সিগঞ্জের সফল নারী উদ্যোক্তা।
”উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প নিয়ে টেকজুমের এবারের আয়োজন।মুন্সিগঞ্জের মেয়ে “সোনিয়া” এর উদ্যোক্তা হয়ে ওঠা নিয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছেন বিবিসিনিউজ২৪ এর স্টাফ রিপোর্টার। পাঠকদের উদ্দেশ্যে সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হলো-
আপনার সম্পর্কে কিছু বলেন?
আসসালামু আলাইকুম।আমি সোনিয়া।লেখাপড়া এইচ এস সি বাবার বাড়ি মুন্সিগঞ্জ,শশুর বাড়ি নারায়ণগঞ্জ বর্তমান ২ সন্তান এর জননী তবে আর একটা পরিচয় আমি একজন সফল নারী উদ্যোক্তা।
উদ্যোক্তা আগ্রহ কিভাবে তৈরি হলো?
ছোট থেকে ইচ্ছে ছিল নিজে কিছু করে নিজের পায়ে দাড়ানোর, কি করলে ৬৪ জেলার মানুষ আমাকে চিনবে এটা নিয়ে ভাবতাম। আমার ইচ্ছে শক্তি ও ভাবনা নিয়ে আমি আমার অনলাইন বিজনেস শুরু করি ২০১৯ সাল জুলাই মাসে। কিছু দিন ২ টা কোম্পানী তে জব করি কিন্তু ভালো লাগে নাই। তারপর থেকে অনলাইন বিজনেস শুরু করি।
আপনি অনলাইন বিজনেস এ আইডল হিসাবে কাকে দেখছেন?
আমার অনলাইন ব্যবসায় আমার বোন তানিয়া এবং আমার স্বামী আমার কাছে আইডল, তাদের অনুপ্রেরণা আর আমার ইচ্ছে এই ২ মিলে আজ আমি একজন উদ্যোক্তা, তারা পাশে ছিল বলে আজ আমি একজন সৎ অনলাইন বিজনেসম্যান।
কতটুকু সফলতা লাভ করেছেন বলে মনে করেন?
যখন আমি অনলাইন ব্যবসা শুরু করও তখন কেউ আমাকে চিনতো না। আজ আমার ৬৪ জেলায় আমার কাস্টমার আছে। এবং ৭৫ হাজার মানুষ আমাকে চিনে এবং তাদের সার্পট এ আমি আজ এতদূর আসতে পারছি,(লাখ লাখ শুকরিয়া আল্লাহ কাছে)।
আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি?
জন্ম থেকে মৃত্যু পযন্ত মানুষ শিখে, বর্তমান ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আমার অনলাইন ব্যবসা টা একটু একটু করে আরো বড় করা, আরো শিখা এবং আমাকে দেখে আরো ১০ জন নারী আগ্রহী হয় এবং তাদের কর্মস্থল ঠিক করতে পারে। যদি আল্লাহ তায়া’লা পাশে থাকেন।
শিক্ষাগত যোগ্যতা যদি বলতেন?
আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা আমি এইচ এস সি পাশ করেছি।
আপনি কিভাবে চ্যালেন্জগুলো মোকাবিলা করেছেন?
আলহামদুলিল্লাহ এখন পযন্ত কোনো চ্যালেন্জ এর মোকাবিলা করতে হয় নাই, তবে পাড়া প্রতিবেশী রা,অনেক সময় অনেক কথা বলছে সেগুলো কানে না তুলে নিজের মত করে নিজে হাটছি। সবসময় স্বামীর সার্পট এবং অনুপ্রেরণা পেয়েছি , চ্যানেল্জ আসলেও সহজে মোকাবিলা করতে পেরেছি।
আপনার নতুন প্রোডাক্ট গুলো কি কি?
বর্তমান আমি নতুন প্রোডাক্ট কুশিকাটা, বাচ্চাদের শাড়ি এবং বাচ্চার আর মায়ের ম্যাচিং শাড়ি নিয়ে কাজ করি।
বর্তমানে কভিড ১৯এ ই- কমার্স?
করোনা একটি প্রাণঘাতী ও মরণব্যাধি ভাইরাস।
বর্তমানে কোভিড১৯ কারণে ই-কমার্স সাড়া পাচ্ছে সারা দেশ ও সারা বিশ্ব।বাংলাদেশ কম সাড়া পাচ্ছে না কিন্তু ঠকছে তার চেয়ে বেশি।অনলাইনের মাধ্যমে কেনাকাটা করার জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে। ঘরে বসে মাত্র কয়েকটি ক্লিকের মাধ্যমে পণ্য কেনার মজাই আলাদা। সময়ের সাথে সাথে যেমন মানুষের চাহিদার পরিবর্তন ঘটেছে তেমনি পরিবর্তন ঘটেছে বাজার চাহিদারও। সরাসরি বাজারে না গিয়েই মানুষ অনলাইন মার্কেট থেকে পন্য ক্রয় করছে বর্তমানে।সব ধরনের সার্ভিস পাওয়া যাচ্ছে কিন্তু তার মধ্যে প্রতারকের সংখ্যাই বেশি।যদি প্রতারকদের থামানো যেতো তাহলে ই- কমার্স সামবের দিক আরো এগিয়ে যেতো।
পরিশেষে স্রোতাদের উদ্দ্যেশ্যে কিছু বলুন?
পরিশেষে এটা ই বলতে চাই ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়।প্রতিটি মেয়ের উচিত নিজের পায়ে দাড়ানো এবং নিজের একটা পরিচয় তৈরি করা।প্রতিটি মানুষ এর মাঝে কোন না কোন প্রতিভা আছে আমরা তাকে জাগিয়ে কাজে লাগাতে পারি।কথায় আছে,যে নারী চুল বাঁধতে পারে, সে নারী রাঁধতে ও পারে। যদি আমাদের ইচ্ছে শক্তি আর পরিবার এর সার্পট থাকে তাহলে সব কিছু সম্ভব। আমার জন্য দোয়া করবেন সততার সাথে সাথে অনলাইন বিজনেস করে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারি।