নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নগরীর আগ্রাবাদ ২৮ নং পাঠাটুলী এলাকার কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল কাদেরের সমর্থনকারীদের আরেক কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুরের সমর্থনকারী ও পুলিশ দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে ও নিরাপত্তার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে আব্দুল কাদেরের পরিবার।
সোমবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আব্দুল কাদের এর স্ত্রী নুসরাত জাহান। এসময় তার ছেলে অভি ও মেয়ে সায়মা কাদেরও উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, গত ১২ জানুয়ারি মগপুকুর পাড় এলাকা একটি সংঘর্ষে নিহত বাবুল সর্দার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছে আব্দুল কাদের।আমি মনে করি আমার স্বামী আব্দুল কাদেরকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দিতে পরিকল্পিত ভাবে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়ে তাকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের আগে আমার স্বামীকে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য নানা ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলো। এর পিছনে গভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র এবং হত্যাকান্ডটি পরিকল্পিত বলে দাবী করেন আব্দুল কাদেরর স্ত্রী নুসরাত জাহান।
তিনি আরও বলেন, হত্যাকান্ডের পর থেকে আব্দুল কাদেরের পক্ষে কাজ করা কর্মী সমর্থকদের প্রতিনিয়তই হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে বাহাদুরের সমর্থকরা। এবং নির্বাচনের দিন এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হবেনা বলে হুমকি দিয়ে আসছে তারা। শুধু তাই নয়, প্রতিদিন কাদেরের সমর্থনকারীদের বাসায় বিনা কারনে পুলিশ পাঠিয়ে হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ করেন কাদেরের স্ত্রী।
এসময় তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, এখন আমার স্বামী কারাগারে থাকাতে আমার স্বামীর পক্ষে আমি যখন নির্বাচনী প্রচারণায় যায় তখন আমার আট বছরের ছেলে সাওরিন কাদের সায়বা বলে, মা তুমি এসবে যেওনা, বাবার উপর হামলা করে বাবাকে জেলে পাঠিয়েছে, তোমার উপরও হামলা করবে জেলে পাঠাবে তুমি যেওনা। তাই নিরাপত্তা চেয়ে আব্দুল কাদেরের কর্মী সমর্থনদের অন্যায় ভাবে, অযৌক্তিক ভাবে হয়রানি বন্ধ, গ্রেপ্তার করা কর্মীদের নিঃর্শত মুক্তি দাবী জানিয়ে, সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করে মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ করে দিতে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান কাদেরের স্ত্রী নুসরাত জাহান।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা জাহেদ চৌধুরী, কাদেরের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ইসরাত জাহান রাণী, বোন মনোয়ারা বেগম, হোসনে আরা বেগম, জেসমিন আক্তার, জাহানারা বেগম। উপস্থিত ছিলেন, নাজনীন আক্তার, ফারজানা রহমান ও জেসমিন করিম।