ডেস্ক রিপোর্টঃ বান্দরবানের রুমা উপজেলায় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের ২৫ শে ডিসেম্বর বড়দিন উদযাপনের উপলক্ষে সরকারের বরাদ্দ দেওয়া আনুমানিক সাড়ে দশ লক্ষ টাকা কার্টসাট/ নয়/ছয় করার অভিযোগ উঠেছে। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনুদানের টাকা বিগত ১০ বছরের কোন অভিযোগ না থাকলেও চলতি উপজেলার পরিষদ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদের দ্বারা পরিচালিত উপজেলার পরিষদ জন্য অপ্রিয় হলেও খুবই দুঃখজনক ! টাকা কার্টসার্ট অনিয়ম দুর্নীতি তদন্তের দাবি জানিয়ে বান্দরবান জেলা শীর্ষ ৮ বিশিষ্ট যাজক (মন্ডলী নেতা) বুধবার (৬জানুয়ারি) তারা লিখিতভাবে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, রুমা উপজেলায় ২৫শে ডিসেম্বর বড়দিন উদযাপনের জন্য আর্থিক সহায়তা হিসেবে ১৯৩ টি গীর্জার জন্য মোট ৯৬ টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহায়তা হিসেবে ওই খাদ্যশস্য প্রতি টনে ৪৪ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে উল্লেখ সূত্রে জানা গেছে । অতঃপর খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় গির্জাগুলোতে নগদ টাকা প্রদান করার কথা বলা হয়েছে। সেই হিসেবে খাদ্যশস্য বিক্রি করে ৪২ লাখ ৯১ হাজার ২০০ টাকা নগদ পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ সূত্রে জানা গেছে। কিন্তু বড়দিনের আগে ও পরে দুই দফায় রুমা উপজেলার ১৯৩ টি গির্জাকে ৩২ লাখ ৪৬ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে । কিন্তু পরবর্তী ২য় দফায় ৩০০০ (তিন হাজার) করে বম জনগোষ্ঠীর আংশিক চার্চ সহ ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী ৪২ টি গীর্জা ,খুমী ৫টি , ম্রো জনগোষ্ঠীর খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা এতে বঞ্চিত হয় । এতে অবশিষ্ট আরও ১০লক্ষ ৪৫ হাজার ২০০ শত টাকার হদিস পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে। অভিযোগকারীদের মধ্যে অন্যতম প্রেসব্যাটারিয়ান চার্জের প্রধান বম জনগোষ্ঠীর বিচক্ষণতা অন্যতম নেতা রেভারেন্ড লালজার লম বম বলেন, জেলার অন্যান্য উপজেলার প্রতিটি গির্জাকে ২২ হাজার ৩০০ টাকা দেওয়া হয়েছে। তারা রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মহোদয় মোঃ ইয়ামিন হোসেন কাছে গিয়ে বিষয়টি জানতে গেলে ইউএনও বিষটির সন্তোষজনকভাবে কোন জবাব দিতে পারেননি।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইয়ামিন হোসাইন বলেন, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের যাজকরা কি অভিযোগ দিলেন আমার এখনও জানা নেই ।