ইকবাল হোসেনঃ মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ডোবা থেকে হাসান (১৭) নামের এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করে পরলিশ। এ ঘটনায় বাবা-মা ও বোন ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার সকালে উপজেলার হোসেন্দী বাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
তারা হলেন,মৃত কিশোরের বাবা মো. শামীম শিকদার (৪০), মা হাসিনা বেগম(৩৪) ও নিহতের বোন (১৫)।
জিজ্ঞাসাবাদে পিতা শামীম হত্যার পর পাশের ডোবায় ছেলের লাশ ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পিতা শামীমের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ জানিয়েছে, গত ২১ ডিসেম্বর ঘটনার রাতে নিহত হাসানের ছোটবোন প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হয়। এসময় ভাই হাসান তাকে নিজের ঘরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। মেয়ের চিৎকার শুনে ছুটে গিয়ে পিতা শামীম ছেলে হাসানকে ধরে তার মুখে বালিশ চাপা দেন। আর মা হাসিনা বেগম ছেলের পা ধরে রাখেন। এসময় ছোটবোন ছুরি দিয়ে হাসানের পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণে হাসানের মৃত্যু হয়। পরে তারা মিলে বাড়ির পাশের ডোবায় লাশ ফেলে দেন।
ঘটনার ১৮ দিন পর ৮ জানুয়ারি শুক্রবার ডোবা থেকে দুর্গন্ধ ও মরদেহ দেখছেন বলে পুলিশকে জানিয়েছ হাসানের পরিবার। সকাল ১০টায় ডোবা থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় হাসানের লাশ উদ্ধার করে গজারিয়া পুলিশ।
লাশ উদ্ধারের সময় হাসানের পরিবারের সদস্যরা জানান ২১ তারিখ থেকে হাসান নিখোঁজ ছিলো।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রইছ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদে নিহত হাসানের বাবা-মা ও বোন হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। এঘটনায় নিহতের ছোট ভাই হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মূলত ছোটভাই হোসেনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই হত্যা রহস্য উদ্ঘাটন করা হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা। আটককৃত বাবা মা ও বোনকে রবিবার আদালতে পাঠানো হবে।