রিপেন চাকমাঃ আজ বালুখালী মুখ নিজ গ্রামের জনগণ ফুল দিয়ে বরণ করলেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের নবনিযুক্ত সদস্য প্রবর্তক চাকমাকে। অন্যদিকে আরও কৃতজ্ঞতার সহিত বিদায় জানালেন সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমাকে। এসময় সকল প্রাণির হিতসুখ ও মঙ্গল কামনায় সুবলং শাখা বনবিহারে ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এতে বৌদ্ধমূর্তি দান, অষ্টপরিষ্কার দান, সংঘ দান, পিন্ড দানসহ নানাবিধ দানীয় সামগ্রী উপস্থিত ভিক্ষু সংঘের নিকট দান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন জেলা পরিষদ সদস্য প্রবর্তক চাকমা। তিনি বলেন- রাঙ্গামাটি জেলার জুরাছড়ি একটি প্রত্যন্ত উপজেলা। এখানে দুর্গম এলাকায় প্রচুর পরিমাণে পানির সংকট রয়েছে। বিশেষ করে পাহাড়ি অঞ্চলে চৈত্রমাস আসলে পানির সদস্যা দেখা দিতে শুরু করে। এসব এলাকার জনগণ খুব কষ্ট করে বসবাস করে। পরিবেশ স্বাভাবিক থাকলে নিষ্ঠা এবং সততার সহিত কাজ করে যাবেন বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন নবনিযুক্ত জেলা পরিষদ সদস্য প্রবর্তক চাকমা।
এছাড়াও সাবেক সদস্য, জুরাছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জজ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা বলেন- আমি বিগত ৫বছর ৮মাসা সদস্য থাকা কালীন জুরাছড়ি দুর্গম এলাকায় উন্নয়ন করার চেষ্টা করে ছিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় পরিবেশ আমার জন্য পরিবেশ স্বাভাবিক না থাকায় উন্নয়ন করতে পারিনি। তবে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পাহাড়ে কয়েকটি গ্রামসহ পানির সুব্যবস্থা করে দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন- বর্তমান সদস্য প্রবর্তক চাকমা যেহেতু একজন সফল জনপ্রতিনিধি ছিলেন, সেই হিসেবে তিনি এবার দুর্গম এলাকায় উন্নয়ন পৌঁছে দিতে পারবেন বলে জানান সাবেক সদস্য জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা।
আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ধল কুমার চাকমা, সাধারণ সম্পাদক প্রচারক চাকমা, ইউপি সদস্য বিরো চাকমা, কার্বারী সুরেশ কুমার চাকমা, কার্বারী জয়বিজয় চাকমা, আওয়ামী লীগ নেতা মিন্টু চাকমা, উজ্জল কুমার চাকমা, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত চাকমা(বাচ্চু)সহ যুবলীগ নেত্রীবৃন্দ।