আব্বাস আলী,ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসে ঐতিহ্যবাহী খেজুরের পাটালি পার্সেল করে হয়রানির শিকার শহরের কাঞ্চন নগর এলাকার পিন্টু মিয়া।
জানা গেছে, গত ১৫/১২/২০২০ ইং তারিখে ঝিনাইদহ সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের এজেন্সিতে গিয়ে ৭/৮ কেজি পাটালি বরিশাল তার আত্মীয়র নিকট পাঠানোর জন্য বুকিং দেন পিন্টু মিয়া। তিনি বলেন, দূর্ভাগ্যর বিষয় হলো বুকিং এর ১৮ দিন পার হলেও শনিবার (২ জানুয়ারি) অবধি সেই পার্সেল পৌছিয়ে দিতে পারেনি সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের এজেন্সি প্রতিনিধিরা। পাইনি বরিশালের সেই অতি আকাঙ্ক্ষিত পরিবারটি তাদের নিকট পাঠানো পিন্টু মিয়ার পার্সেল।
এব্যপারে ভুক্তভোগী পিন্টু মিয়া বলেন, বুকিং দেওয়ার পরের দিন থেকেই বরিশাল আমার আত্মীয়র নিকট মোবাইল ফোনে খোঁজ নিতে থাকি কিন্তু তারা পাইনি বলে জানান। এক পর্যায়ে আমি সুন্দরবন কুরিয়ারের ঢাকা প্রধান শাখায় জানালে তারা ঝিনাইদহ অফিসকে ক্ষতিপূরন দিতে বলেন।কিন্তু ঘটনার ১৮ দিন পার হলেও অনেক বার ঘুরেও টাকা বা পার্সেল কোনটাই ফেরত পায়নি বলে জানান ভুক্তভোগী পিন্টু মিয়া।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস অফিসে জানতে চাইলে কাস্টমার কেয়ারের একজন কর্মকর্তা বলেন,আমরা পাঠিয়ে দিয়েছি এ ব্যপারে আমাদের কোন দোষত্রুটি নাই। তারা বলেন, হেড অফিস বলতে পারবে আপনারা হেড অফিসে যোগাযোগ করেন। সেসময় ঢাকা প্রধান শাখায় মুঠোফোনে যোগযোগ করার চেষ্টা করলে, কথা বোঝা যাচ্ছেনা বলে ফোন রেখে দেন তারা। এরকম পার্সেল হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসে অহরহ ঘটে বলে পিন্টু মিয়া জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিনাইদহ সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের ম্যানেজার উত্তম কুমার দে বলেন, আমি ২মাস হলো এখানে এসেছি তবে এরকম কোন ঘটনা এখনও ঘটেনি। তিনি বলেন, ঘটনাটি আমার অজানা, এ বিষয়ে আমার কাছে এখনও কেউ কোন অভিযোগ করতে আসেনি। সেসময় তাৎক্ষনিক বিষয়টির উপর তিনি খোঁজ নেন এবং অবগত হয়ে বলেন, আমি যখন জানতে পেরেছি এর একটা সমাধান অবশ্যই আপনারা পাবেন।