মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে স্ত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে বিষপান করে স্বামী শফিক সরদার নামে এক ব্যক্তি আত্নহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত শুক্রবার রাত অনুমান ১০ টার দিকে উপজেলার চর নিমতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সে চর কমলাপুর গ্রামের মৃত আবুল হাসেম সরদারের ছেলে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে হাসপাতালের চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে মিডফোর্ড হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বর্তমানে তিনি শঙ্কা মুক্ত রয়েছেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
পারিবারিক সূত্রে আরো জানা যায়, চর নিমতলা গ্রামের লেহাজ উদ্দিনের ছেলে মামুন ও একই গ্রামের শফিক সরদারের স্ত্রী দুই নন্তানের জননী খাদিজা আক্তারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়ার সম্পর্ক চলছিলো। শুক্রবার রাত অনুমান সাড়ে ৯ টার দিকে শফিক সরদার বাড়ী ফিরে তার স্ত্রী খাদিজার খোঁজ করে না পেয়ে বাড়ী পাশে মামুনের ডেকোরেটরের দোকানে গিয়ে তাদের দুজনকে একসাথে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায়।
পরকীয়া প্রেমিকের সাথে স্ত্রীর এমন দৃশ্য মানতে না পেরে ঘরে এসে কীটনাশক পান করে আত্নহত্যার চেষ্টা করে শফিক সরদার। পরে বাড়ীর আশপাশের লোকজন গুরুতর অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হলে হাসপাতালের চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে মিডফোর্ড হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
ভুক্তভোগী শফিক সরদারের বোন আরজুদা বেগম বলেন, এর আগে আমার ভাই তার বৌকে মামুনের সাথে দুইদিন কথা বলতে দেখেছে। রাতে বাড়ীতে এসে বৌকে না পেয়ে সন্দেহ করে মামুনের ডেকোরেটরের দোকানের সাটার খুলে ভিতরে গিয়ে মানুনের সাথে তার বৌ খাদিজাকে খারাপ অবস্থায় দেখতে পায় আমার ভাই । পরে ঘরে এসে আলু ক্ষেতে দেওয়ার ঔষধ খেয়ে ফেলে। বাড়ীর লোকজন আমার ভাইকে হাসপাতালে ভর্তি করে। আমি ওই খারাপ মহিলার বিচার চাই৷ যদি আমার ভাই বিষ খেয়ে মরে যেতো তাহলে ছোট ছোট বাচ্চাগুলির কি হাল হইতো। এ বিষয়ে থানার পুলিশের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেছি। এদিকে অভিযুক্ত পরকীয়া প্রেমিক মামুনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি এবিষয়ে কিছুই জানি না। আমাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাসানোর চেষ্টা চলছে।
সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ এস.এম জালাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, স্ত্রীর পরকীয়ার কারণে স্বামী বিষপান করে। স্বামী এখন মিডফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি আছে। সুস্থ্য হয়ে ফেরার পর লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।