সোহেল রানা বাবু,বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ সারা দেশের ন্যায় বাগেরহাটের মহাসড়ক, আঞ্চলিক সড়ক ও প্রতিটি উপজেলা ও ইউনিয়নের গ্রাম্য সড়ক গুলোতে যানবাহনে শোভা পাচ্ছে তীব্র আলোসম্পন্ন সাদা এলইডি বাল্বের হেডলাইট সহ বাহারি রঙের এলইডি লাইট। সন্ধ্যা হলেই দেখা যায় যানবাহনের তীব্র আলোসম্পন্ন হেড লাইট সহ বিভিন্ন জায়গায় শোভা বর্ধনের জন্য এলইডি আর রংবেরঙের বাহারি লাইটের ব্যবহার। প্রতিনিয়ত এসব লাইটের ব্যবহার যেন বাড়ছে অতি মাত্রায়। যার কারনে সাধারণের চলাচলে যেমন চরম ভাবে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে তেমনি প্রতিনিয়ত বাড়ছে দুর্ঘটনা।
পথচারী,সাইকেল চালক এবং এসব রাস্তা দিয়ে চলাচল কারী অন্যান্য যানবাহন ব্যাবহারকারীদের অভিযোগ, কোনো ব্যক্তি রাতে সড়ক বা মহাসড়কে বের হলেই গাড়ির হেডলাইটের তীব্র আলোর যন্ত্রণায় পড়তে হয়। যানবাহনের সাথে লাগানো এলইডি লাইটের আলো চলাচলের সময় ব্যাপক ভাবে চোখে পড়ায় সাধারণ মানুষের পথ চলতে খুবই সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এই আলো চোখে পড়া মাত্রই চোখ ধাঁধিয়ে যায়। যার ফলে প্রতিনিয়ত মানুষ দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
সন্ধ্যার পর থেকে দেখা যায়, প্রতিটি অটোভ্যান, রিকশা, বিশেষ করে ইজিবাইক, থ্রি-হুইলার , আলমসাধু, নছিমন, করিমন, মোটরসাইকেল সহ অন্যান্য অনেক যানবাহনে এলইডি লাইটের ব্যবহার এখন সর্বত্রই। এছাড়া অন্য লাইট ব্যবহারকারী যানবাহনের চালকরা এই এলইডি লাইটের যানবাহন ক্রসিংয়ের সময় চোখ ধাঁধানো আলোর কারণে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। কারণ একটু অসাবধানতা হলেই ঘটে যেতে পারে মারাত্বক দুর্ঘটনা।
এলইডি লাইটের অধিক ব্যবহারের দিকে ট্রাফিক পুলিশ সহ প্রশাসনের কোনো সংস্হার কারো যেন কোন নজরদারীই নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে এই লাইটের প্রভাবে ম্যাকুলা বার্ন হতে পারে এবং মানুষের চোখের কর্নিয়ায় এই আলো সরাসরি লাগলে চোখ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। এমনকি দীর্ঘদিন এভাবে আলো চোখে লাগতে থাকলে কর্নিয়া নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যাতে করে প্রাথমিক অবস্থায় চোখে কম দেখা, ঝাপসা দেখা এবং পরিশেষে আস্তে আস্তে অন্ধত্ববরণ হতে পারে।
বিষয়টি ইতিপূর্বে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও প্রশাসন থেকে নেয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা। তবুও এ বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি গোচর এনে সাধারণ জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে পথ চলতে পারে সেজন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল।