রিপেন চাকমা: রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার দুর্গম জুরাছড়ি উপজেলায় ২নং বনযোগীছড়া ইউনিয়নের চকপতিঘাট গ্রামবাসীরা এগার বছর ধরে শলক খালের উপর বাঁশের সেতু নির্মাণ করে চলাচল করে আসছে। প্রতিবছর এসময়ে নিজস্ব অর্থায়নে বাঁশের সেতু নির্মাণ করেন গ্রামবাসীরা।
এই বাঁশের সেতু দিয়ে জুরাছড়ি সদর থেকে বনযোগীছড়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের জনগণ চলাচল করেন। প্রতিনিয়ত এই পথ দিয়ে শত শত লোকজন চলাচল করেন। বৃদ্ধ ও ছেলে-মেয়েদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এই বাঁশের সেতু। ঝুঁকি হলেও তাদের জন্য এই পথ ছাড়া আর কোনও চলাচলের রাস্তা নাই।
গ্রামবাসীদের দাবী সরকারি উদ্যোগে ব্রীজটি নির্মাণ করা হলে ৫-৬ হাজার জনগণ উপকৃত হবে। তাই সরকারিভাবে জনগণের স্বার্থে ব্রীজটি নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে সেজন্য এলাকাবাসীর পক্ষে সরকারের কাছে সুদৃষ্টি কামনা করেন উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী মিসেস মিতা চাকমা।
চকপতিঘাট গ্রামের বৃদ্ধ জিতেন্দ্র চাকমা জানান যে, এই বাঁশের সেতুটি আমরা এগার বছর ধরে নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করে চলাচল করছি। আমাদের এই অসুবিধাটি কেউই দেখতে আসেননি। এই বাঁশের সেতু দিয়ে আমাদের গ্রামের প্রাইমারি বিদ্যালয়ের ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে চলাচল করে। আর যকন কাপ্তাই হ্রদের পানি কমে যায় কেউ অসুস্থ হয়ে পরলে হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয়না। তাদের এই চলাচলের অসুবিধাটি কবে শেষ হবে বলে জানান ৭০বছরের বৃদ্ধ লোক জিতেন্দ্র চাকমা।
একই গ্রামের আরও একজন বৃদ্ধ লোক কালাচান চাকমা বলেন- এই বাঁশের সেতুটি গ্রামের লোজনে কষ্ট করে নির্মাণ করে থাকে, কিন্তু বর্ষার মৌসুম আসলে পানিতে ভেষে যায় আমাদের একমাত্র চলাচলের মাধ্যম এই বাসের সেতুটি। তারপর আমাদের আরও বেড়ে যায় চলাচলের দুর্ভোগ। তাই তিনি চলাচলের সুবিধার্থে সরকারিভাবে ব্রীজ নির্মাণ করার জন্য সরকারের কাছে আকুল আবেদন করেন।
০২নং বনযোগীছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তোষ বিকাশ চাকমা চাকমা বলেন- এই সেতুটি দীর্ঘ ১১বছর ধরে আমতলী এবং চকপতিঘাট এলাকাবাসী তাদের স্বউদ্যোগে নির্মাণ করে আসছে। এই সেতুটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ কারণ আমতলী আর চকপতিঘাটসহ কয়েকটি এলাকার প্রায় ৫-৬ হাজার লোকের যাতায়াতের মাধ্যম। সেতুটি না থাকায় চলাচলের জন্য খুবই অসুবিধা। তিনি এলাকার জনগণের যাতায়াতের সুবিধার্থে বর্তমান সরকারের কাছে সুদৃষ্টি কামনা করেন।