পাথরকালি পূজা উপলে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার ওই সীমান্তের ৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এদিন দুই বাংলার লাখো মানুষের উপস্থিতিতে মিলন মেলায় পরিণত হয়। বর্ষ পুঞ্জিকা অনুযায়ী হিন্দু সম্প্রদায় প্রতি বছর শ্রী-শ্রী জামর কালির জিউ (পাথরকালী) পূঁজা উপল্েয মেলা উদযাপন করে থাকেন। আর এ পূঁজা উপলে প্রতি বছরে এই দিনে দূরদূরান্ত থেকে দু-দেশের স্বজনরা ভিড় জমায় সীমান্তের ৩৪৫ ও ৩৪৬ নং পিলার এলাকায়।
শুক্রবার সকাল থেকে দূরদূরান্ত থেকে দু-দেশের স্বজনরা সীমান্তে কাঁটাতারের কাছাকাছি এলাকায় সমবেত হতে থাকে। হাজার হাজার নারী পুরুষ শিশু তারকাঁটার ওপারে থাকা নিকটজনদের সঙ্গে দেখা করার জন্য অপোর প্রহর গুণতে থাকে। শেষ পর্যন্ত দুপুর ১২ টায় স্বজনদের বাঁধভাঙা চাপ ধরে রাখতে পারেনি দু-দেশের সীমান্ত রা বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফ।
কাঁটাতারের গেট খুলে না দেওয়ায় স্বজনদের সঙ্গে কোলাকুলি ও বুক মিলাতে পারেনি কেউ। শুধু কাঁটাতারের ওপারে দাঁড়িয়ে পরস্পরের সঙ্গে হয় কথাবিনিময় হয়। অনেকে প্রিয়জনকে আপ্যায়ন করানোর জন্য বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে আসেন। তারের ওপাশ থেকে আপ্যায়ন করতে হয়। খাদ্যদ্রব্য ও উপহার সামগ্রী কাঁটাতারের ওপর দিয়ে ছুড়ে দিতে হয় খাবার।
স্থানীয় একটি পেীরনিক পূজাকে কেন্দ্র করে পালিত হয় এই মেলাটি । জানা যায় ঐতিহাসিক বৃটিশ আমল থেকে প্রতি বছর ভারত থেকে পাথরের তৈরি একটি মূর্তিকে এদেশে নিয়ে আসা হতো এবং তার পূজা করা হতো তারই ধারাবাহিকতায় এখন পযন্ত প্রতি বছর পালন করা হচ্ছে এই পাথরকালী মেলাটি ।
এ ব্যাপারে মেলা কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক নগেন কুমার পাল ও উমা কান্ত ভেীমিক বলেন এটি একটি প্রাচীন মেলা আমরা এর যথাযত পালনের জন্য সব রকমের ব্যবস্থা করেছি আশা কারি শান্ত পরিবেশে গতবারের ন্যায় এবারেও পালিত হবে মেলাটি ।