বুধবার রাত ৩টার দিকে পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নে এক বাড়িতে এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে ইয়াছিনকে রক্তমাখা ছোরাসহ আটক করেছে পুলিশ। আহত ছাত্রী ও তার বাবাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ছাত্রীর বাবা জানান, স্কুলে যাওয়ার পথে ইয়াছিন তার মেয়েকে প্রেম নিবেদন করে নিয়মিত উত্ত্যক্ত করত। বিষয়টি তার মেয়ের কাছে শুনেও লোক লজ্জার ভয়ে তিনি কাউকে বলেননি। এক পর্যায়ে ইয়াসিন বেপরোয়াভাবে মানসিক নির্যাতন শুরু করলে বিষয়টি স্থানীয় কিছু গণ্যমান্য লোকদের জানানো হয়। এতে ইয়াসিন ক্ষিপ্ত হয়। পরে বুধবার রাতে ঘরের জানালা ভেঙে ইয়াছিন ঘরে প্রবেশ করে তার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। মেয়ের চিৎকারে সজাগ হয়ে তিনি ইয়াছিনকে ঝাপটে ধরেন। এ সময় ইয়াছিন সঙ্গে থাকা ছোরা দিয়ে তাদের আঘাত করে এবং এক পর্যায়ে তার দু’হাতের রগ কেটে দেয়। পরে রাতেই এলাকাবাসী বাবা ও মেয়েকে পাথরঘাটা হাসপাতালে ভর্তি করায়। সকালে তাদের সেখান থেকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পাথরঘাটা থানার ওসি মো. হানিফ সিকদার জানান, ইয়াসিন ঘটনার সময় তার মোবাইল ও জামাকাপড় ফেলে দু’জনকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কয়েক জায়গায় অভিযান চালিয়ে ইয়াছিনকে আটক করা হয়। ইয়াছিনের স্বীকারোক্তিতে রক্তমাখা ছোরাটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।