শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকা থেকে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনও আসে। এসময় বারী সিদ্দিকীর কন্যা ইলমা সিদ্দিকী বলেন, এ দেশে শিল্পীদের জন্য তেমন কোন সরকারী বা বেসরকারী সুযোগ সুবিধা নেই। আমাদের দেশে যারা নিজ দ্বায়িত্বে গড়ে উঠছেন তাদেরকেও ধরে রাখার মতো ব্যাবস্থা নেই।
এটি শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির দেশ, এখানে খেলোয়ারদের মতো করে সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতেও শিল্পীদের জন্যেও ভালো ব্যাবস্থা করতে হবে। তাহলে মানুষের ধর্য্য ধরে শিল্প চর্চার আগ্রহ বাড়বে। এখন বিভিন্ন প্রতিযোগিতা হচ্ছে। এতে করে শিশুরাও বেরিয়ে আসছে ঠিকই, কিন্তু তাদেরকে সঠিক গাইড এবং ভালো শিক্ষা দিতে না পারায় হারিয়েও যাচ্ছে তারা। বছরের পর বছর একজন সংস্কৃতি চর্চা করে ভালো মানের শিল্পী হবেন। সেই পর্যন্ত তার নিজের পড়ালেখা, খাবার বাসস্থানেরও চিন্তা করতে হয়।
তাই আলাদাভাবে যারা এ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে চান তাদের জন্য শুধু সাংস্কৃতিক চর্চা বিকাশ কেন্দ্র করে ভালো মানের শিল্পী তৈরীর উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি বাবার জন্য মানুষের ভালোবাসার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। বারী সিদ্দিকীর আত্মীয় জেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য স্থানীয় অভিভাবক অধ্যাপক ওমর ফারুক বলেন, বারী সিদ্দিকীর স্মৃতি সংরক্ষণে কবরের পাশে স্থায়ী প্রতিকৃতি স্থাপন করা হবে।
সেই সাথে ভক্তরা এসে যেনো অনুষ্ঠানাদি করতে পারে তেমন একটা ব্যাবস্থা করা হবে। তিনি আরো বলেন বারী সিদ্দিকীর বাড়িতে আসার কাঁচা সড়কটি পাকা করনেরও কার্যক্রম চলছে। রবিবার সন্ধ্যায় বাউল গানের উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।